ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

যে গ্রামে নারী ও পুরুষের ভাষা আলাদা  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৩, ২৬ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৪২, ২৭ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

নারী ও পুরুষের ভাষা ভিন্ন ভিন্ন। এমনই এক গ্রাম রয়েছে দক্ষিণ নাইজেরিয়ায়। সেই গ্রামটির নাম উবাং। কৃষিনির্ভর এ গ্রামের ভাষা অন্য যে কোনো জায়গার তুলনায় অনন্য, কারণ সেখানে নারী ও পুরুষ কথা বলে আলাদা ভাষায়।  

উবাং গ্রামটিতে নারী ও পুরুষের ব্যবহৃত ভাষা ভিন্ন। যেমন মিষ্টি আলুকে নারীরা বলে ‘উরুই’, অথচ পুরুষরা ভলে ‘ইতং’। এমনই অনেক আলাদা আলাদা শব্দ ব্যবহার করে নারী ও পুরুষ। ঠিক কী কারণে আলাদা শব্দ ব্যবহার করে নারী ও পুরুষ, সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায় না।

ওই এলাকার ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন বিশেষজ্ঞ চি চি উন্দি। তিনি জানান, ব্রিটিশ ও আমেরিকান ইংরেজি যেমন আলাদা, এখানে ব্যাপারটা তেমন নয়। এই দুই ভাষা আরও বেশি আলাদা একে অপরের থেকে। কিন্তু তারপরেও এ গ্রামের নারী ও পুরুষ একে অপরের সাথে কথা বলার সময়ে কোনো সমস্যাই হয়না। এর কারণ হলো, শিশুরা ১০ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছে বড় হয়, ফলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই নারীদের ভাষাটি শিখে যায়। কিন্তু ১০ বছর বয়সের পর ছেলেরা পুরুষ ভাষাটি ব্যবহার শুরু করে।

উবাং গ্রামের মানুষ দাবি করে, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ভাষা থাকাটা ইশ্বরের ইচ্ছা। তবে বিশেষজ্ঞ উন্দি মনে করেন, নারী ও পুরুষের মাঝে বিভেদ অনেক বেশি এই সংস্কৃতিতে। সেখানে নারী ও পুরুষ একেবারেই আলাদা জীবন যাপন করেন। এ কারণেই তাদের ভাষাটিও আলাদা।

এই ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই। এ কারণে তরুণদেরকে মুখে মুখেই তা শিখিয়ে থাকেন বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে তরুণরা এই ভাষা শিখতে অনীহা দেখাচ্ছে। ওই গ্রামের বয়স্করা আশঙ্কা করছেন, ভাষাটি অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এমনকি সেখানে স্কুলগুলোতেও এই ভাষায় কথা বলতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

সূত্র: বিবিসি

এসি 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি